সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৮০ কিলোমিটার ছোট যমুনা নদী খনন না করায় প্রতি বছর বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে এলাকা এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রবি শস্য সহ বাড়িঘরের।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার মেইন শহরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ছোট যমুনা নদীটি। দীর্ঘ ২শত বছর ধরে নদীটি খনন না করায় উত্তর
থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। এই নদীটি খনন না করায় প্রতি বছর বর্ষাকাল এলে নদীটি প্লাবিত হয়ে কয়েকটি ইউনিয়নে ঢুকে পড়ছে পানি।
এতে বাড়ি ঘর সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে কৃষক সহ খেটে খাওয়া মানুষগুলি পথে বসছে। এই ছোট যমুনা নদীটির উত্তর দিক থেকে ৪০ কি.মি. বিরামপুরে ১৩ কি.মি. পার্বতীপুরে ১৫ কি.মি. এভাবে আঁকাবাঁকা হয়ে নদীটি ফুলবাড়ী হয়ে বয়ে গেছে দক্ষিণে। প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার মানুষ।
খনন করা হলে এই এলাকার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমি পানির সেচ সুবিধা পাবে। লাভবান হবে কৃষক। বিশেষ করে দক্ষিণে জানিপুর এলাকায় রাবার ড্রাম স্থাপন করলে ধরে রাখবে বর্ষাকালের পানি। কিন্তু দেশের অন্যান্য নদী গুলি খনন হলেও ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা নদীটি খনন করার কোন লক্ষণ নেই। যার কারণে প্রতি বছর এভাবে পলি জমে চর জেগে উঠেছে।
এভাবে চলতে থাকলে এক সময় বন্যার পানি শহর সহ অন্যান্য ইউনিয়ন গুলিতে ঢুকে পড়বে। এতে সামাল দেওয়া মুশকিল হবে। এ ব্যাপারে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঐ এলাকা অতি জরুরী খনন করা প্রয়োজন। জরিপ করে দেখেছি ছোট যমুনা নদীর ৮০ কি.মি পর্যন্ত চর জমে গেছে। নদীটি খনন করা এখুনি প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর ফুলবাড়ী নির্বাচনী ৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ডিও লেটার পেয়েছি, বিষয়টি পানি সম্পদ মন্ত্রী মহোদয়কে অবগত করা হবে। নদীটি খননের জন্যে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই নদীটি খনন করা খুবই প্রয়োজন। যে সময় কৃষকেরা রবি শস্য চাষ করবে সেই সময় বন্যা। যারা আগাম রবি শস্য চাষ করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই আমি বলব, ছোট যমুনা নদীটি খনন করা খুবই প্রয়োজন।
কৃষক শামসুল আলম বলেন, নদীর ধারে আমার অনেক জমি রয়েছে। রবি শস্য চাষ করেছি, কিন্তু বন্যায় আমার অফুরন্ত ক্ষতি হয়েছে। নদীটি খনন করা থাকলে বন্যায় এই এলাকার ফসল সহ বাড়িঘর এবং আবাদি ফসলের ক্ষতি হত না।